হাজার হাজার ফেসবুক পেইজ, ওয়েবসাইট, পোর্টাল, অনলাইন সার্ভিসে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য কনটেন্টের প্রয়োজন হয়। এর বড় একটি অংশ দখল করে রাখে ছবি, কারন ছবির ভাষা সার্বজনীন। কিন্তু বর্তমানে শুধুমাত্র সুন্দর একটি ‘ছবি’ আপলোড করেই ভিজিটর অথবা তাদের আগ্রহ ধরে রাখা যায়না, কারন হাজার হাজার ছবির ভীড়ে সিম্পল ছবি দেখার সময় কৈ? তাই ছবিকে এখন সেজেগুজে আসতে হয়, ভিজিটরের নজর কাড়তে হয়। একটি সুন্দর টাইটেল/ক্যাপশন অথবা হালজামানার ট্রল কনটেন্টে ছবির মাঝে থাকা এলিমেন্ট/মডেলদের ডায়লগ সাধারন একটি ছবিকেও ভিজিটরদের কাছে আকর্ষনীয় করে তোলে।
এছাড়া শিল্পের যেমন সমালোচক প্রয়োজন হয়, তেমনি ফটোগ্রাফেরও সমালোচক দরকার পড়ে; যে ছবি অথবা ছবির বক্তব্য সঠিকভাবে বিশ্লেষন এবং সুন্দরভাবে তা ব্যাখ্যা করতে পারে। সমালোচক হতে গেলে কোনো বিষয়ে উপলব্ধি লাগে, অভিজ্ঞতা লাগে, লেখার শক্তি লাগে। ছবির টাইটেল/ক্যাপশন অথবা ডায়লগ তৈরীর ক্ষেত্রেও তাই। একজন টাইটেল মেকার বা ক্যাপশন মেকারের স্থানীয় মানুষের সাইকোলজি, পছন্দ-অপছন্দ, আগ্রহ সম্পর্কে জানতে হয়; চলমান ট্রেইন্ড জানতে হয়; বাণিজ্যিক বিষয় কিভাবে ভোক্তার কাছে তুলে ধরতে হবে, তা জানতে হয়।
১৭ কোটি ভোক্তার দেশের লক্ষ লক্ষ অনলাইন সামাজিক, বানিজ্যিক এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে প্রতিদিন অসংখ্য টাইটেল/ডায়লগ মেকারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এ বিষয়ে দক্ষ মানুষ অপ্রতুল বলে একজনের কনটেন্ট শতজনে কপি করে নিজেদের পেইজ/সাইটগুলোতে ছড়াতে থাকে, যা ভিজিটরের মনে বিরক্তি আর তাচ্ছিল্য তৈরী ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনা। তাই ছবি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভবিষ্যত পৃথিবীর অসংখ্য দক্ষ ‘ফটোবিদ’ও প্রয়োজন পড়বে।