প্রতি মাসেই ছবি তোলার জন্য বাড়তি অপশন/সুবিধা নিয়ে ক্যামেরা অথবা মোবাইল সেটের নতুন কোনো মডেল, লেন্স অথবা ফটোগ্রাফি সংক্রান্ত বিভিন্ন এক্সেসরিজ বাজারে আসছে। অনলাইনের এই যুগে নতুন কোনো পণ্য বাজারে আসার পর পন্যটি সম্পর্কে ভবিষ্যত ক্রেতা/ভোক্তাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে ‘রিভিউর’ কোনো বিকল্প নেই।
পণ্যের জন্য রিভিউ লেখা অনেকটা টেকনিক্যাল বিষয়, যা আসলে কোনো পণ্য সম্পর্কে একধরনের বিজ্ঞাপন। পন্যের ভালো রিভিউ তৈরীর জন্য সারা বিশ্বের প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করে। কখনো কখনো প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্য বাজারে ছাড়ার আগেই স্থান, কাল, পাত্র ভেদে; ভোক্তার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যাচাই পূর্বক স্থানীয় রাইটারদের দিয়ে রিভিউ তৈরী করিয়ে নেয়। রিভিউ লেখার সময় একজন রিভিউ রাইটারের উক্ত পন্য সম্পর্কে যথেষ্ঠ জ্ঞান থাকতে হয়, প্রয়োজনে পড়াশোনা করতে হয়। ক্ষেত্র বিশেষে তাকে একজন ব্যবহারকারী হিসেবে; এর সুবিধা, অসুবিধা এবং আউটপুট সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। উক্ত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা একটি পণ্যের রিভিউকে কার্যকর এবং সফল করে তোলে, যার মাধ্যমে আগ্রহী ক্রেতা উক্ত পন্যে ‘কি কি নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে’; ‘তিনি ঐ পণ্যটি কেনো ক্রয় করবেন’ এবং ‘অন্য একই ধরনের পন্য থেকে এই পন্যটি কেনো আলাদা’; তা জানতে পারেন। দক্ষ হাতে লেখা তথ্য নির্ভর একটি রিভিউ একটি পণ্যের বিক্রয় এবং জনপ্রিয়তা অনেক বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
এ্ফেলিয়েট মার্কেটিংয়ের কারনে বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকেই ‘রিভিউ রাইটিংকে’ পেশা হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন, যার সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পন্য বাড়ছে, ভোক্তা বাড়ছে; সাথে সাথে ‘রিভিউ রাইটারের’ চাহিদাও বাড়ছে।