একসময় ছবি তোলা হতো অনেক সীমিত পরিসরে। তখন ছবির ব্যবহার এবং মালিকানা বিষয়ে জটিল কোনো নীতিমালা দরকার হতো না। পরবর্তীতে ক্যামেরা বিজ্ঞানের দ্রুত উন্নতি, সহজলভ্যতা এবং বানিজ্যিক প্রয়োজনে ছবি তোলার পরিমান বাড়তে থাকে। ছবি বাড়ার সাথে সাথে এর ব্যবহার এবং মালিকানা সম্পর্কিত সমস্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। বর্তমান অনলাইনের যুগে এ সমস্যা চুড়ান্ত পর্যায়ে।
একটা সময় এ্যানালগ ক্যামেরায় তোলা নির্দিষ্ট কোনো কাগুজে/প্রিন্টেড ছবির বিশ্বব্যাপী ব্যবহার অথবা মালিকানা নিশ্চিতভাবে নির্নয় করা সহজ ছিলোনা। কিন্তু বর্তমানে একটি ডিজিটাল ছবি তোলার সময় ক্যামেরা নিজ দায়িত্বে উক্ত ছবির এতো বেশি তথ্য সংগ্রহ করে রাখে যে, তা পড়তে গেলে ধৈর্য্য দরকার হয়। পাশাপাশি ইন্টারনেটের উন্নতির কারনে এখন কোনো ছবি অথবা ছবির অংশ কবে, কখন, কোথায়, কিভাবে, কিসের মাঝে, কোন কপিরাইট নীতিমালায় ব্যবহার করা হয়েছে, তা স্বল্পসময়ে বের করা যায়। কপিরাইট/মেধাস্বত্ব নীতিমালা সারা বিশ্বব্যাপী শক্তভাবে বাস্তবায়ন করা শুরু হয়েছে। ইচ্ছে মতো অনলাইন থেকে কপি করে, কারো ছবি চুরি করে, অনুমতি না নিয়ে ব্যবহার করার সুবিধা খুব শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে।
যেহেতু, ছবির কপিরাইট সংক্রান্ত আইনগত সমস্যা বাড়ছে, তাই কপিরাইট এবং মেধাস্বত্ব আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ আইনজীবিদের কাজের ক্ষেত্র আরো বেশি প্রসারিত হচ্ছে। সেলমাইপিক্স.কম ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কপিরাইট এবং মেধাস্বত্ব বিষয়ে কাজ করতে বিশেষভাবে আগ্রহী আইনজীবিদের তালিকা তৈরীতে চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আপনার পড়াশোনা, আগ্রহ এবং দক্ষতা থাকলে অনুগ্রহ করে তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।