ছবি তোলা কি অনেক কঠিন?

ছবি তোলা কি অনেক কঠিন?

স্মার্টফোনের সহজলভ্যতার কারনে ধনী-গরীব, ছোটে-বড়, দক্ষ-অদক্ষ সবাই এখন ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে যা কিনা ১০বছর আগেও অনেক মানুষ কল্পনা করতে পারতোনা। বর্তমানে মোবাইল ক্যামেরার সর্বনিম্ন ক্ষমতা হচ্ছে ফ্রন্টে ৩ মেগাপিক্সেল আর ব্যাকে ৫ মেগাপিক্সেল। আগে মানুষ ছবি তুলতো প্রয়োজনে আর এখন ছবি তুলে কথায় কথায়,প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে। মানুষ এখন যতো ছবি তোলে, তার চেয়ে বেশি ‘ডিলিট’ করে, কারন এখন ছবি তুলতে ৩৬ স্লাইডের নেগেটিভ ফিল্ম কিনতে হয় না।

 

ছবি তোলা একসময় ছিলো শখ বা দক্ষতার বিষয়, আর এখন খাওয়া-দাওয়া অথবা ঘুমের মতো আবশ্যিক বিষয়। এখন ছবি তোলার জন্য দক্ষ না হলেও চলে, কারন মোবাইল ক্যামেরা নিজেই স্বনিয়ন্ত্রিতভাবে যথেষ্ট দক্ষ। সে বলে দেয়, আলো কম নাকি বেশি, এক্সপোজার, ফ্রেমিং কেমন, রুল অব থার্ড এর অবস্থা কি, অথবা কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে! মোবাইলের বিনামূল্যের সফটওয়ার ছবি এডিট, অ্যালবাম তৈরী করতে সাহায্য করে এবং শেয়ারের মাধ্যমে আপনাকে পরিচিত-অপরিচিত মানুষদের লাইক, কমেন্টেস এনে দেয়। অবস্থা দেখে মনে হয় সারা দুনিয়া উঠে পড়ে লেগেছে আপনাকে ফটোগ্রাফার বানাবার জন্য, কিন্তু কেন?

 

কারন, ছবি কথা বলে এবং ছবির ভাষা সার্বজনীন। শিক্ষিত-অশিক্ষিত, যে কোনো ভাষার মানুষ ছবির কথা বুঝতে পারে। নিখুঁত ছবি দিয়ে সত্যকে সত্য প্রমান করা যায়। তাই এখন অনলাইন, সোস্যাল মিডিয়া, বিজ্ঞাপন মাধ্যম থেকে শুরু করে শিক্ষা, বানিজ্য, মার্কেটিং সবক্ষেত্রেই ছবির এতো চাহিদা।

 

মানুষ প্রতিদিন অসংখ্য ছবি তুলে, কিন্তু কাজের ছবি কয়টা? এতো এতো ছবি, অথচ দরকারের সময় গ্রাহক চাহিদামতো ছবি খুঁজে পায় না। ভালো ছবির অভাব বলেই নিয়মিত অন্যের ছবি কপি পেষ্ট চলতে থাকে। তাই উদ্দেশ্য নিয়ে ছবি তুলুন। চিন্তা করুন আপনার কোন ছবিটি গ্রাহক কিনতে আগ্রহী হতে পারেন? কোন ছবিটি ফেসবুক, বিজ্ঞাপন অথবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার হতে পারে? যে কোনো বিষয় নির্বাচন করে ছবি তুলতে থাকুন, ডিলিট করুন, বাছাই করুন। মোবাইলের বাটনে ক্লিক করলেই ছবি উঠে, তাই ছবি তোলা এখন কোনো কঠিন বিষয় নয়।