মঙ্গলের 'জোছনা'
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার আবদুল দ্রিমালির তোলা ছবিতে মঙ্গলগ্রহ থেকে পৃথিবীর সমুদ্রতটে বিচ্ছুরিত নান্দনিক জোছনা - ডেইলি মেইল
জোছনার সৌন্দর্য নিয়ে যুগে যুগে কত যে কবি-সাহিত্যিক সাহিত্যকর্ম রচনা করেছেন, তার ইয়ত্তা নেই। ভরা জোছনায় অবগাহন করতে করতে রোমান্টিসিজমে ভেসে যাওয়া মানুষেরও অভাব হবে না। কিন্তু সেই জোছনা যদি চাঁদের না হয়ে অন্য কোনো গ্রহের হয় তাহলে নিশ্চয় সবাই চমকাতে বাধ্য। সাগরের বিস্তৃত জলরাশির মাঝে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ মঙ্গল থেকে ঠিকরে আসা নরম আলো বা জোছনার ছবি তুলে সম্প্রতি হইচই ফেলে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার আবদুল দ্রিমালি।
ছবিতে সাগর সৈকতের বিস্তৃত চরাচরের বাইরে তারাভরা আকাশ দেখা যায়। এর ডান পাশে উজ্জ্বল কমলা বিন্দুর মতো জ্বলে ছিল লোহিত গ্রহ মঙ্গল, সাগরের মাঝে লম্বাটে ভাবে যার ছায়া পড়তে দেখা গেছে ছবিতে। ছবির আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হলো, রাতের আকাশে মিল্ক্কিওয়ে ছায়াপথের সৌন্দর্য। এটি যেন এই ছায়াপথের বিশালত্ব আরেকবার মানুষকে মনে করিয়ে দেয়।
মূল বিষয়টি হলো, মহাজাগতিক নিয়মেই চলতি মাসে ৩০ বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহ আবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে এসেছে। দিন যত যাচ্ছে, মঙ্গল গ্রহ আকাশে তত উজ্জ্বল হতে শুরু করেছে। অবস্থাটা এমনই যে, আগামী ৩১ জুলাই পৃথিবী ও মঙ্গলের দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৫৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন কিলোমিটার। এর আগে ২০০৩ সালেই কেবল এ দুই গ্রহের দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছিল ৫৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন কিলোমিটারে। অর্থাৎ মঙ্গলকে কাছে আসার সুযোগ নিয়েছেন আবদুল দ্রিমালি। কারণ পরে যে এমন মহাজাগতিক ঘটনার জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত।
বস্টনের বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী দ্রিমালি জানান, দারুণ এ ছবিটি তিনি তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের একটি সৈকত থেকে, ১৩ জুলাই স্থানীয় সময় রাত ১০টায়। এটি তোলার সময় যখন ক্যামেরার শাটারে চাপ দেন, তখনও তিনি বুঝতে পারেননি আসলে ছবিটি কেমন হবে। পরে নিজের তোলা ছবি দেখেই তিনি বিস্ময়ে অভিভূত। খবর মেইল অনলাইন ও নিউইয়র্ক টাইমসের।
সূত্রঃ দৈনিক সমকাল
মন্তব্য (0)
ফেসবুক মন্তব্য (0)