অবিন্তা গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে প্রদর্শনী ‘দ্য ওরিয়েন্টাল’
ওরিয়েন্টাল পেইন্টিং স্টাডি গ্রুপের অষ্টম এ চিত্রকলা প্রদর্শনীর জন্য ছবি আহ্বান করা হয়েছিল। তারপর কয়েক শ শিল্পকর্ম থেকে নির্বাচিত ৬০ জন শিল্পীর মোট ৬৭টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।
দিনার সুলতানার একটি চিত্রকর্ম
কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোচ্ছে এক কিশোরী। তার বেণি ঝুলে পড়েছে খাট থেকে নিচে। যেখানে রাখা আছে একটি ট্রাঙ্ক। সেই ট্রাঙ্কের দুই পাশে দুটি পদ্মফুল আঁকা। ট্রাঙ্কটির পাশে পড়ে আছে তার স্কুলব্যাগ। কাপড়ের নরম স্কুলব্যাগের পাশেই টিনের বাক্স যেন ইঙ্গিত করছে—কোমল কৈশোর থেকে কঠিন তারুণ্যের পথে ধাবমান সে। বাস্তবতা তাকে দেবে এক স্বেচ্ছাগড়ন। অসহায় জীবনকে হয়তো দেবে শোভা, ঠিক যেমন পদ্মফুল।
মো. রবিউল ইসলামের একটি চিত্রকর্ম
একটা ছবির বর্ণনা দেওয়া গেল বটে। শিল্পী হয়তো এত কিছু ভেবে আঁকেননি। কিন্তু চিত্ররসিকের সুযোগ আছে নানা কিছু ভাবার। ভাবনা ও সৌন্দর্যের খোরাক জোগাবে এমন ৬৭টি ছবি ঝুলছে অবিন্তার দেয়ালে। গত শনিবার বিকেলে বাড্ডার অবিন্তা গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে শুরু হয়েছে প্রাচ্য চিত্রকলা প্রদর্শনী ‘দ্য ওরিয়েন্টাল’।
আলপ্তগীন তুষারের একটি চিত্রকর্ম
প্রদর্শনীর ছবিগুলো থেকে তিনজন শিল্পীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অবিন্তা গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন আজমীর হোসেন এবং অবিন্তা একসেলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মুনমুন নাহার এবং সামিনা জামান। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্পীদের হাতে স্মারক, পুরস্কারের অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন অবিন্তা গ্যালারি অব ফাইন আর্টসের চেয়ারপারসন নীলু রওশন মুর্শেদ।
পৃথিবীতে চারুশিল্পের প্রধানত দুটি ভাগ—প্রাচ্যশিল্প ও পাশ্চাত্য শিল্প। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, পারস্য, চীন, জাপানসহ এশিয়া মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হাজার বছর ধরে জলরঙে ওয়াশ দিয়ে আঁকার যে প্রচলন, সেটিই প্রাচ্যকলা। প্রাচীন এ রীতিতে আঁকা ছবিগুলো চিত্ররসিকের চোখ জুড়ায়। ডিজিটাল পৃথিবীতে আদি ও আসল ছবি দেখার আনন্দ জোগায়। প্রদর্শনীটি ঘুরে আসা যাবে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্যালারি খোলা থাকে।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো
মন্তব্য (0)
ফেসবুক মন্তব্য (0)