যে ১১টি রাস্তায় আপনি হয়তো কখনোই ড্রাইভ করতে চাইবেন না

যে ১১টি রাস্তায় আপনি হয়তো কখনোই ড্রাইভ করতে চাইবেন না

যে ১১টি রাস্তায় আপনি হয়তো কখনোই ড্রাইভ করতে চাইবেন নাঃ

 

১. আটলান্টিক ওশেন রোড- নরওয়ে-

 

 

নরওযের ছোট ছোট দ্বীপের মধ্যে দিয়ে ৫ মাইল দীর্ঘ এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে গাড়ি সোজা আটলান্টিক মহাসাগরে পরবে।

সমুদ্রের প্রমত্ত ঢেউ এই রাস্তাটি সারাক্ষন ভিজিয়ে রাখে, তাই এই ভেজা রাস্তাটি বেশ বিপদজনক হয়ে থাকে।

 

 

২. স্টিলভিউ পাস- ইটালি

 

৯ হাজার ফুট উচুঁতে ১৫ মাইল দীর্ঘ এই রাস্তায় ৪৮ টি বাকঁ আছে এবং কিছু কিছু বাকে ১৮০ ডিগ্রী কর্নারে যেয়ে বাক নিতে হয়। এখানে শুধুমাত্র জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ড্রাইভ করা যায়। বাকি সময় আবহাওয়ার কারনে অসম্ভব হয়ে উঠে।

 

 

৩. সিচুয়ান-তিব্বত হাইওয়ে- চায়না

 

এ রাস্তায় প্রতি লাখ প্যাসেঞ্জারের মধ্যে সাড়ে ৭ হাজার লোক মারা যায়। ২,১৪২ কিমি দীর্ঘ রাস্তা চলতে গিয়ে পাড়ি দিতে হয় ১৪টি উচু পাহাড়। এই রাস্তা বৃস্টিপাতে কখনো কখনো এতটাই কর্দমাক্ত হয়ে যায় যে গাড়ী আটকে থাকতে হয় অনেকটা সময়।

 

 

৪. লেহ মানালি হাইওয়ে-ইন্ডিয়া-

 

লেহ-মানালি হাইওয়েকে পৃথিবী সবচেয়ে ভয়্ঙ্কর রাস্তা হিসেবে মনে করা হয়, এটি সমতল থেকে ১১,৫৭৮ ফুট উচুঁতে অবস্থিত।

 

 

৫. স্কিপারস ক্যানিয়ন রোড- নিউজিল্যান্ড-

 

 

এই রাস্তা এতটাই ভয়ঙ্কর যে এখানে রেন্টাল কার এর জন্য কোন ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ দেয়া হয় না। এই রাস্তা এত সরু যে বিপরীত দিক থেকে গাড়ী এলে পাশাপাশি সাইড দেয়া যায় না।

 

 

৬. কমনওয়েলথ এভিনিউ- ফিলিপাইন-

 

এই রাস্তাটি ৭.৫ মাইল দীর্ঘ এবং ১৮ লেন প্রশস্থ, যার কারনে অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়ৈ যায় চালকদের, ফলশ্রুতিতে ডেঞ্জারাস সব অ্যাক্সিডেন্ট এখানে হয় যার কারনে একে অনেকে “হাইওয়ে অব ডেথ’’ ও বলে থাকে। প্রতি বছর এই রাস্তায় ১ হাজারের বেশী মানুষ মারা যায় অ্যাক্সিডেন্টে।

 

 

৭. ইশিমা ওহাশি ব্রিজ-জাপান –

 

ব্রিজটি জাপানে অবস্থিত, যা সাকাইমিনাতো এবং মাটস্যু নামের দুটি শহরকে সংযুক্ত করেছে।

 

এই ব্রিজটি একপাশে ৬.১% নিচু, এবং আরেক পাশে নিচু ৫.১%, যা স্বাভাবিক ভাবেই পৃথিবীর সবচেয়ে খাড়া ব্রিজের আকৃতি দিয়েছে।

 

এই ব্রিজটি এভাবে খাড়া ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন এর নিচ দিয়ে মাছ ধরার জাহাজগুলো অনায়াসে আসা-যাওয়া করতে পারে।

 

 

৮. বিআর ১১৬-ব্রাজিল-

 

 

এই রাস্তাটিকে বলা যেতে পারে “হাইওয়ে অব ডেথ”। ২ হাজার ২০০ মাইল রাস্তাটি  ব্রাজিলের দ্বিতীয় দীর্ঘ রাস্তা। যদিও এই রাস্তাটিকে বিপদজনক ধরার কারন হিসেবে এর অবস্থান বা নির্মানশৈলীকে দোষ দেয়া যাবে না। এটি বিপদজন হওয়ার অন্যতম কারন হলো হাইওয়ের নির্দেশিকাগুলো ঠিকমতো মেইনটেইন করা হয় না। তাছাড়া গাড়ী থেকে ডাকাতি করার জন্য, ডাকাতদের রাস্তার উচুঁ অংশ থেকে নিচের দিকে যাওয়ার সময়টুকুকে বেছে নেয়ার কারনেও প্রচুর দূর্ঘটনা ঘটে থাকে।

 

 

৯. জালালাবাদ-কাবুল রোড-আফগানিস্তান-

 

 

ব্রাজিলের মতোই, কাবুল-জালালাবাদ রোডটি কয়েকটি ফ্যাক্টরের কারনে বিপদজনক। এখানেও পথের মধ্যে তালেবান কয়েকটি গ্যাং ডাকাতি করে থাকে, তাছাড়া অন্য গাড়ীর ড্রাইভারদের অসতর্কতাও আপনাকে বিপদে ফেলে দিতে পারে। প্রতক্ষ্যদর্শীর মতে, প্রতিদিন গাড়ীর সাথে গাড়ীর সংঘর্ষ এখানে সাধারণ বিষয়। একদিন তিনি ২ ঘন্টার মধ্যে ১৩টি অ্যাক্সিডেন্ট হতে দেখেছেন। কখনো কখনো দূর্ঘটনার কারনে সংঘর্ষের পর আপনি বাতাসে গাড়ী উড়তেও দেখবেন।

 

 

১০. গোলিয়াং টানেল রোড-চায়না-

 

 

সর্ব প্রথমে এই রাস্তাটি তাইগ্যাং পাহাড়ের ১৩টি গ্রামের বাসিন্দারা তৈরি করেছিলেন বর্হিবিশ্বের সাথে নিজেদের যোগাযোগের প্রয়োজনে। আগে এটি টুরিষ্টদের জন্য আকর্ষনীয় স্থান ছিল। পরবর্তীতে ১৯৭২ সাথে শুরু হয়ে এই প্রজেক্ট ৫ বছর সময় নিয়ে ০.৭৫ মাইল দীর্ঘ রাস্তাটি  ভালোমতো তৈরি করা হয়। এটি উচ্চতায় ১৬ ফিট এবং প্রস্থে ১৩ ফিট।

 

এই রাস্তায় দুটি গাড়ী একসাথে চলতে পারে। এই রাস্তাটিকে বলা হয় “এই রাস্তা, কোন ভুল সহ্য করে না”

 

 

১১. দ্য জোজি পাস-ইন্ডিয়া-

 

এই রাস্তায় গাড়ী চালাতে গিয়ে যদি টেনশনে আপনার হাতের তালু ঘামতে থাকে, তাকে দোষ দেয়া যাবে না। এটি ১১,৫৭৫ ফুট উচুতে অবস্থিত একটি রাস্তা। লাদাখ এবং কাশ্মিরের মধ্যে ৫.৬ মাইল দৈর্ঘের এই রাস্তাটি সংযোগ তৈরি করেছে।

 

কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া যদি আপনি এখানে গাড়ী চালানোর চেষ্টা করেন, তাহলে আপনাকে বেশ খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে।শীতকালে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ড্রাইভারদের জন্যেও এখানে গাড়ী চালানো বন্ধ থাকে।  

 

 

 

 

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত