চার দিনের আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব শুরু
শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনের ৪ ও ৫ নম্বর গ্যালারি জুড়ে সাজানো নানামাত্রিক আলোকচিত্র। বাংলাদেশের ছবি যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে পৃথিবীর ছয়টি দেশের আলোকচিত্র।
ভারতের কাশ্মীরের সিরিজ আলোকচিত্রে দেখা গেল, খেলনা বন্দুক নিয়ে গেরিলা সাজে সজ্জিত কয়েক শিশু। আরেকটি ছবিতে দেখা গেল দেখা গেল কাশ্মীরের নিহত এক যোদ্ধার মরদেহ নিয়ে সাধারণ মানুষের মিছিল। শুধু কাশ্মীর নয়, প্রদর্শনীতে রয়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা আলোকচিত্র।
সাত দেশের দুই শতাধিক আলোকচিত্র নিয়ে রাজধানীতে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র উৎসব। এ উৎসবের মিডিয়া পার্টনার কালের কন্ঠ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি সোসাইটি প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে এ উৎসবের। গতকাল রবিবার সকালে শুরু হয় এ উৎসব। জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তান ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলা ও টিএসসি প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত হচ্ছে আলোকচিত্র। চারদিনের এ উৎসব প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি সোসাইটির সভাপতি মিমু দাস বলেন, প্রদর্শনীতে সিঙ্গেল ক্যাটাগরিতে ১১১টি, পোর্টফোলিও ক্যাটাগরিতে ৯৭টি এবং স্টোরি ক্যাটাগরিতে ১৬টি ফটো স্টোরি এ প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি সোসাইটির সদস্যদের ৩৪টি আলোকচিত্র স্থান পাচ্ছে এই উৎসবে। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছে কানাডা, ইউক্রেন, ফ্রান্স, ভারত, নেদারল্যান্ডস, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার আলোকচিত্র শিল্পীরা।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন আলোকচিত্রীদের জন্য থাকছে মিট দ্য জাজ সেশন, আর্টিস্ট টক পর্ব। এ ছাড়া বক্স ক্যামেরার ফটোগ্রাফি, পোর্টফলিও রিভিউ এবং আলোকচিত্রের ওপার ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শনীর আয়োজন থাকছে উৎসবে।
৩০ জানুয়ারি উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের আলোকচিত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মনজুর আলম বেগকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফি সোসাইটির পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা (মরণোত্তর) দেয়া হবে।
সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ
মন্তব্য (0)
ফেসবুক মন্তব্য (0)