ফটোগ্রাফি টিপস -১

ফটোগ্রাফি টিপস -১

ভালো ফটোগ্রাফার হতে চাইলে, ভালো ক্যামেরার পাশাপাশি প্রয়োজন হয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এবং সেই সাথে সৃষ্টিশীল দৃষ্টিভঙ্গি। রাতারাতি ভালো ফটোগ্রাফার হওয়া যায় না। তার জন্যে প্রয়োজন হয় পরিশ্রম, ধৈর্য্য, চেষ্টা এবং আগ্রহ। 

 

শৌখিন বা পেশাগত ফটোগ্রাফারদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস-

 

১. নতুন ক্যামেরায় প্রথমবারের সেটিংগুলো, যেমন: ব্যাটারি ফুলচার্জ, মেমোরি কার্ড ইনস্টল, তারিখ ও সময়, ভাষা নির্বাচন ইত্যাদি ইউজার গাইড দেখে সঠিকভাবে করুন।

 

২. ক্যামেরার কোন বাটন বা অপশন না বুঝলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে, আগে ম্যানুয়েল দেখে জেনে নিন।

 

৩. এসি রুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ক্যামেরা বের করবেন না বা খুলবেন না। এতে লেন্সে কনডেন্স আসতে পারে।

 

৪. ক্যামেরার জন্য মজবুত ও টেকসই একটি ব্যাগ কিনুন। ব্যাগটি এমন হওয়া উচিত যেন এর মধ্যে ক্যামেরার আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র রাখা যায় এবং বাইরের চাপ, আঘাত ও বৃষ্টি থেকে ক্যামেরাকে রক্ষা করে।

 

৫. মেমোরিকে সম্পূর্ন খালি করে আবার ব্যবহারের আগে ফরমেট করুন। একটি বড় সাইজের মেমোরির পরিবর্তে, দুইটি মাঝারি সাইজের মেমোরি ব্যবহার করুন।

 

৬. ছবি তোলার আগে সাবজেক্ট, আলো, ব্যাকগ্রাউন্ড, ভিউ অফ এঙ্গেল, এক্সপোজ ইত্যাদি নিয়ে পরিকল্পনার করুন।

 

৭. সাবজেক্টের ব্যাকগ্রাউন্ড যতটুকু সম্ভব প্লেইন রাখার চেষ্টা করুন। ব্যাকগ্রাউন্ড কালার সাবজেক্টের কালারের চেয়ে যেন উজ্জল না হয়।

 

৮. মেমোরি স্পেস পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলে ভিউ পয়েন্ট, কমপোজ ও এক্সপ্লোজার সামান্য পরিবর্তন করে একই সাবজেক্টের একাধিক ছবি তুলুন। পরে সবচেয়ে ভালো ছবিটি রেখে বাকিগুলো ডিলিট করতে পারবেন।

 

৯. ফটোগ্রাফিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো “আলো”। তাই ছবির দৃশ্যে প্রথমেই আলোর উৎস, পরিমাণ, প্রতিফিলন ইত্যাদি নিয়ে ভাবুন।

 

১০. কৃত্রিম আলোর পরিবর্তে প্রাকৃতিক আলোতে ছবি তোলার চেষ্টা করুন।

 

১১. অনেক ক্ষেত্রে এক্ই সাবজেক্টের একটি Horizontal  ও আরেকটি Vertical ছবি থাকলে ভালো হয়।

 

১২. সাবজেক্টকে ফ্রেমে যতটুকু সম্ভব বড় রাখার চেষ্টা করুন এবং ফ্রেমের মাঝখানে না রেখে ১/৩ অবস্থানে রাখুন।

 

১৩. জীবজন্তু, মানুষ ও শিশুর ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব কাছে গিয়ে এবং সাবজেক্টের আই লেভেল বরাবর ক্যামেরা ধরে ছবি তুলুন।

 

১৪. অপরিচিত কোন লোকের ছবি তোলার আগে অনুমতি নিন।

 

১৫. ছবি তুলতে ক্যামেরার শুট বাটন সম্পূর্ন চাপ দেয়ার পর লেন্সের শাটার ওপেন হয়ে আলো সেন্সরে এসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছবিটিকে মেমোরিতে সংরক্ষন করা পর্যন্ত, পুরো প্রসেসটি সম্পন্ন করতে সামান্য কিছু সময় লাগে। এই সময়কে  Shutter lag বলে।

 

১৬. স্লো শাটার স্পীডে ক্যামেরা ট্রাইপড এ রেখে ছবি তুলুন অথবা স্থির কিছুর উপর ক্যামেরা রেখে সেলফ টাইমার ব্যবহার করুন।

 

১৭. ডিএসএলআর ক্যামেরার লেন্সের মুখে একটি UV ফিল্টার  লাগিয়ে রাখুন। তাতে বাইরের কোন আঘাত বা ঘর্ষণে লেন্সের ক্ষতি হবে না।

 

১৮. ভোরের ও বিকালের সূর্যের আলোতে সাধারণত ছবি ভালো হয়।

 

১৯. সম্ভব হলে ক্যামেরার সর্বোচ্চ কোয়ালিটি ও মেগাপিক্সেল ব্যবহার করে ছবি তুলুন। প্রয়োজনে পরে রিসাইজ করতে পারবেন।

 

২০. এক্সপোজার সেটিং- এ ISO যত কম রাখা যায় ততই ভালো, বেশি ISO ছবিতে নয়েজ সৃষ্টি করে।

 

২১. বিভিন্ন রকম হোয়াইট ব্যালান্স সেটিং ব্যবহার করতে পারেন যেমন, ডে-লাইট, ফ্লুরোসেন্ট, ক্লাউডি ইত্যাদি। এগুলোও আপনার ছবিতে ভেরিয়েশন আনতে সাহায্য করবে

 

২২. প্রচুর ছবি তুলুন এতে আপনার হাত পাকা হবে।

 

 

 

ছবিঃ সংগৃৃহীত