ফটোগ্রাফি গ্রুপ
ফেসবুকে ৫মিনিটেরও কম সময়ে ফটোগ্রাফি, আর্ট অথবা ডিজাইন বিষয়ে গ্রুপ তৈরী করা যায়। এখানে ইচ্ছে হলেই গ্রুপ খোলা যায়। ফলাফল, এক ‘পাখি’ বিষয়ে অসংখ্য গ্রুপ।
একই বিষয়ে অসংখ্য গ্রুপ থাকায়, একব্যক্তি একাধিক গ্রুপে জয়েন করেন। প্রতিদিন ৪-৫টি গ্রুপে পোস্ট দেয়ার পর, বাকি গ্রুপগুলোতে পোস্ট করার আগেই তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন। হাজার সদস্যের গ্রুপে, পোস্ট দিলে ২০-৩০টার বেশি রিঅ্যাকশন পাওয়া যায়না। পোস্টকারী যথাযথ রিঅ্যাকশন, মতামত না পেয়ে ধীরে ধীরে গ্রুপের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। সদস্যদের উদ্বীপ্ত এবং ধরে রাখতে সক্ষম গ্রুপের সংখ্যা খুবই কম। এতো পরিশ্রমের পরেও গ্রুপগুলোতে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যায়না-
- একজন সদস্যের দৈনিক সর্বোচ্চ পোস্ট সংখ্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রন করা যায়না।
- গ্রুপে একজন সদস্য কতো পয়েন্ট পেয়েছেন, কয়জনকে রিভিউ দিয়েছেন, কতোখানি সক্রিয়; তা জানা যায়না।
- গ্রুপের মাসিক জনপ্রিয় সদস্য এবং কনটেন্ট প্রকাশ করা যায়না।
- একটি ছবি/ইমেজ কয়টি গ্রুপে প্রকাশ হয়েছে এবং কোথায় কতো পয়েন্ট পেয়েছে, তা জানা পাওয়া যায়না।
- কনটেন্ট কপিরাইট উল্ল্যেখ করা যায়না এবং চুরি/কপিকৃত কনটেন্ট চিহ্নিত করা যায়না।
- গ্রুপ সদস্যদের জন্য অনলাইন ভিত্তিক কনটেস্ট, প্রদর্শনী আয়োজন করা যায়না।
- ইমেজ ক্রয়-বিক্রয় করা যায়না।
- নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রুপের জন্য দক্ষ ‘এডমিন প্যানেল’ গঠন করা যায়না।
- সদস্যদের উদ্বীপ্ত করতে অনুদান ঘোষনা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত এডমিনদের জন্য আয়ের ব্যবস্থা করা যায়না।
- গ্রুপগুলোর সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য না থাকায়, বহু বছর গ্রুপে থেকেও সদস্যদের কোনো ভবিষ্যত তৈরী হয়না।
আমারপিক্স.কম গ্রুপ
উপরের বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমারপিক্স.কম বাংলাদেশী প্রেক্ষাপটে ভিন্ন পদ্ধতির ‘গ্রুপ’ তৈরীর পরিকল্পনা করেছে। ফেসবুক গ্রুপের মতো এই ‘গ্রুপ’ তৈরী করা যায়না। এখানে নির্দিষ্ট বিষয়ে ‘গ্রুপ’ তৈরী করা থাকে এবং যে কেউ বিষয় ভিত্তিক পোস্টের মাধ্যমে গ্রুপগুলোতে অংশগ্রহন করতে পারেন।
সদস্যদের মধ্য থেকে, অনলাইন ভোটে গ্রুপের ‘এডমিন প্যানেল’ নির্বাচন করা যায়। এডমিনবৃন্দ গ্রুপের নামে ইভেন্ট আয়োজন, অনুদান, বিজ্ঞাপন এবং প্রকাশিত কনটেন্ট নিয়ন্ত্রন করতে পারেন।
0.0201
