যে কোনো অনুদান শিল্পীকে উৎসাহ দেয়। শিল্পী যথাযথ উৎসাহ পেলে শিল্পের সমৃদ্ধি ঘটে। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে, ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে ফটোগ্রাফার, ডিজাইনার, চিত্রকরদের প্রেরনা যোগানোর মতো আগ্রহী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই নগন্য। আবার কেউ কেউ হয়তো শিল্পীদের উৎসাহ দিতে আগ্রহী; কিন্তু সরাসরি যোগাযোগ, স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবে অনুদানের ইচ্ছে হারিয়ে ফেলেন। অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে ২টি বিষয় গুরুত্বপূর্ন-
ক. অনুদানের উদ্দেশ্য
অনুদান দাতাগন শিল্পের প্রতি ভালোবাসা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শিল্পীদের প্রেরনা যোগাতে অনুদান ঘোষনা করে থাকেন। অনুদানদাতার চাহিদা মোতাবেক প্রদত্ত অনুদান যথাযথ ব্যবহার হলে তারা আত্মতৃপ্তি পান এবং তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়।
খ. বন্টন প্রক্রিয়া
পৃথিবীতে বন্টন প্রক্রিয়া জটিল একটি বিষয়। ক্ষেত্রবিশেষে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অদক্ষতা, অযোগ্যতা এবং স্বার্থের কারনে ঘোষিত অনুদান সঠিক হাতে পৌছেনা। তাছাড়া অনুদান পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের খুঁজে পেতে পরিশ্রম করতে হয় এবং তাদের হাতে তাদের প্রাপ্য পৌছাতে জটিল প্রক্রিয়া অনুসরন করতে হয়।
শিল্পী এবং শিল্পের জন্য প্রদত্ত অনুদানকে ‘শিল্পানুদান’ হিসেবে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। আমারপিক্স.কম বাংলাদেশী শিল্পী এবং অনুদানদাতা; উভয়ের জন্য স্বচ্ছ, স্বয়ংক্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য একটি অনলাইন ভিত্তিক ‘অনুদান সিস্টেম’ উন্নয়নের চেষ্টা করছে। ৩টি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই অনুদান সিস্টেম তৈরী করা হচ্ছে-
(১) ফটোগ্রাফার-ডিজাইনারদের সহযোগিতা।
(২) ভিজুয়াল আর্ট বিষয়ক ‘সংগঠকদের’ সহযোগিতা।
(৩) ভিজুয়াল আর্ট বিষয়ক ‘সংগঠনকে’ সহযোগিতা।
এখানে ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের নামে সর্বনিম্ন ১০টাকা অনুদান ঘোষনা করা যায় এবং ৩ মিনিটেরও কম সময়ে বিষয়টি সম্পন্ন করা যায়। বর্তমানে ৩টি ক্ষেত্রে অনুদান প্রদান করা যায়-
ক) নির্দিষ্ট বিষয়ের গ্রুপে-
অনুদানদাতা পছন্দ অনুযায়ী বিষয় ভিত্তিক গ্রুপগুলোতে অনুদান দিতে পারেন, যেমন- প্রকৃতি, জলবায়ু, পাখি, শিশু, মানুষ, জীবনধারা, অবকাঠামো; ইত্যাদি। গ্রুপে প্রাপ্ত অনুদান গ্রুপের জনপ্রিয় শিল্পী, পরিচালনা কমিটি এবং সংগঠনের মাঝে বন্টন করা হয়। যেমন- ‘পাখি’ গ্রুপে অনুদান দিলে ‘পাখি’ বিষয়ে যারা ফটোগ্রাফি করেন, মাস শেষে তাদের মাঝে ঘোষিত অনুদান বন্টন হবে।
খ) নির্দিষ্ট এরিয়া ক্লাবে-
অনুদানদাতা নির্দিষ্ট একটি এরিয়া বা স্পটে অনুদান দিতে পারেন। বাংলাদেশের ৮ বিভাগ, ৬৪ জেলা এবং ৬৫০ থানা’র প্রতিটিতে স্বতন্ত্রভাবে অনুদান দেয়া যায়। মাস শেষে ঘোষিত অনুদান বন্টন হয়।
গ) নির্দিষ্ট ডিভাইসের ক্লাবে-
অনুদানদাতা নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড ভিত্তিক ডিভাইস ক্লাবে অনুদান দিতে পারেন। ঘোষিত অনুদান মাস শেষে উক্ত ডিভাইস ক্লাবের জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার, পরিচালনা কমিটি এবং সংগঠনের মাঝে বন্টন করা হয়।
প্রাপ্ত শিল্পানুদান বন্টন প্রক্রিয়া-
প্রাপ্ত ‘শিল্পানুদান’ প্রতিমাসের শেষে আভ্যন্তরীন ৩টি ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্টন করা হয়-
প্রাপ্ত কয়েন দিয়ে যা করা যায়-
- ছবি-চিত্র ক্রয়-বিক্রয়
- ‘কয়েনশপে’ পণ্য ক্রয়
- প্রদর্শনীতে ‘অংশগ্রহন ফি’
- কনটেস্টে পুরস্কার ঘোষনা
- আর্ট মেন্টর সেকশনে অর্ডার
- ক্যামবাজার বিজ্ঞাপন ফি প্রদান
- সদস্যদের ব্যক্তিগত উপহার প্রদান
- পেইজে ব্যালেন্স ট্রান্সফার
- বিকাশ-নগদের মাধ্যমে টাকায় ক্যাশ আউট
অনুদান প্রাপ্তির সম্ভাব্য ক্ষেত্র-
ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের নামে অনুদান ঘোষনা করা যায়। ২টি উপায়ে অনুদানকারী অনুদান ঘোষনা করতে পারেন-
ক) একাউন্ট কয়েন থেকে
আমারপিক্স.কম নেটওয়ার্কে সকল সদস্য এবং তাদের তৈরীকৃত পেইজের নিজস্ব একাউন্ট সিস্টেম রয়েছে। উক্ত একাউন্টের ‘কয়েন’ থেকে ঘোষিত অনুদান পরিশোধ করা যায়। একাউন্টে সমপরিমান কয়েন না থাকলে ‘কয়েন’ লোড করে নেয়া যায়।
খ) ক্যাশ টাকার মাধ্যমে
এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কে একাউন্ট তৈরী ছাড়াই অনুদান দেয়া যায়। এখানে দাতার প্রদত্ত ফোন নম্বর এবং নাম তার পরিচয় হিসেবে বিবেচিত হবে। দাতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলে, পরিচয় গোপন রাখতে পারবেন।
কিভাবে অনুদান দিবেন?
প্রতিটি নির্দিষ্ট গ্রুপ, বিভাগ, জেলা, থানা এবং ডিভাইস ক্লাবের ব্যানারে সর্বোচ্চ অনুদানদাতার নাম প্রকাশ করা হয়। নির্দিষ্ট অংকের অনুদান ঘোষনার পর উক্ত গ্রুপ/এরিয়ার অনুদানদাতাদের নামের পাশে ক্যাটাগরী ব্যাজ যুক্ত হবে। প্রদত্ত অনুদানের পরিমান অনুযায়ী দাতাদের ৬টি ক্যাটাগরীতে ভাগ করা হয়।
১। স্টার্টার - ১ হাজার ডিজিটাল কয়েন
২। ব্রোঞ্জ - ১০ হাজার ডিজিটাল কয়েন
৩। সিলভার - ১ লাখ ডিজিটাল কয়েন
৪। গোল্ড - ১০ লাখ ডিজিটাল কয়েন
৫। প্লাটিনাম - ৫০ লাখ ডিজিটাল কয়েন
৬। ডায়মন্ড - ১ কোটি ডিজিটাল কয়েন
অনুদান শর্তাবলী